প্রকাশিত: Wed, Feb 14, 2024 12:13 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 9:13 PM

[১]খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ৪ মার্চ

এম.এ. লতিফ, আদালত প্রতিবেদক: [২] মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য এই তারিখ ধার্য করেছেন।

[৩] মঙ্গলবার  আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে না পারায় তার পক্ষে আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া হাজিরা দেন।

[৪] এদিন সাক্ষ্য দিতে একজন সাক্ষী আদালতে হাজির হন। তবে প্রস্তুতি না থাকায় দুদক সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

[৫] ‘আমাদের নতুন সময়’কে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

[৬] ০৯ ডিসেম্বর, ২০০৭ দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। 

[৭] ০৫ মে, ২০১৮ খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১৯ মার্চ, ২০২৩ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

[৮] মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

[৯] বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান ইতিমধ্যে মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী